নাইক্ষ্যংছড়িতে অসহায় ও দুস্থ রোগীদের মাঝে সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা প্রদান
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে অসহায় ও দুস্থ পাহাড়ি-বাঙালি ১৪শ রোগীর পাশে দাঁড়ালো কক্সবাজার রামু সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ছালেহ আহমদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রামু সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের আওতাধীন ২ পদাতিক ব্রিগেড ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেন।
ক্যাম্পেইনের আয়োজনে ছিলেন “সদা প্রস্তুত চব্বিশ”। এসময় অর্থোপেডিক্স, গাইনি, মেডিসিন, এনেসথেসিওলজিস্ট, যৌন ও চর্ম, নাক-কান-গলা ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ১২ জন ডাক্তরের টিম মেডিকেল ক্যাম্পেইনে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
জানা যায়, ক্যাম্পেইন শুরু পর পরিদর্শনে আসেন ১০ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান। এ সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ ও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, এলাকার ১৫টি গ্রামের ১৪শ রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য ক্যাম্পে ছুঁটে আসেন। এদের মধ্যে পাহাড়ি রোগীর সংখ্যা বেশি। যেহেতু উপজেলা সদরে অবস্থিত মারমা পাড়াটি ছিলো পাশে। তবে পাহাড়ি রোগী বেশি থাকলেও বাঙালি রোগীও ছিলো চোখে পড়ার মতো। অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজনও এসেছে দলে দলে। সকলে খুশি মনে ঔষধসহ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলেও জানা যায়।
মধ্যম চাকপাড়া থেকে আসা উচালা চাক বলেন, সে একজন চর্ম রোগী। দীর্ঘদিন এ রোগে কষ্ট পাচ্ছেন। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে না পেরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় রামু সেনাবাহিনীর এই মেডিকেল ক্যাম্প তার জীবনকে সচল করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
অনুরুপভাবে সীমান্তের সোনাইছড়ির বাসিন্দা কুলসুমা বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি একজন গাইনি রোগী। টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে না পেরে তার মরণ দশা ছিলো। সেনাবাহিনীর ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ তার জীবনে আর্শীবাদ স্বরূপ। এ সেবা পেয়ে খুশি প্রকাশ করেন তিনি।
ক্যাম্পেইন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের ১০ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান বলেন, এটি মূলত সেনাবাহিনীর রুটিনের কাজ। যেখানে মানবতার প্রয়োজন সেখানে সেনাবাহিনী। প্রতি বছর সেনাবাহিনী এ ধরনের কাজ করে আসছে। গত বছর এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন করা হয়েছিলো কক্সবাজার রামুর কচ্ছপিয়াতে। এ বছর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে করা হয়েছে। এভাবে উড়বে সেনাবাহিনীর মানব সেবার পায়রা।