ঢাকায় রোহিঙ্গাদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী
![]()
নিউজ ডেস্ক
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে শুরু হয়েছে ‘রোহিঙ্গা সংস্কৃতির পুনর্জন্ম ও রং’ শিরোনামে তিন দিনব্যপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে যমুনা ফিউচার পার্কের ওয়েস্ট কোর্টে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে রোববার পর্যন্ত। এতে সহযোগিতা করছে জাতিসংঘের শরণার্থী ও উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আর্টোল্যুশন এবং বিশ্বব্যাপী শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘তের দেজ হোমস এতে সহযোগিতা করছে।
যমুনা ফিউচার পার্কের ওয়েস্ট কোর্ট প্রাঙ্গণের এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে কক্সবাজারের ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ১০টি বড় ও ১০০টি ছোট ক্যানভাস। যার মাধ্যমে শরণার্থী শিল্পীরা তুলে ধরেছেন তাদের আত্মপরিচয়, অতীতের কষ্ট, বর্তমানের চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতের আশা ও স্বপ্নের কথা।
আর্টোল্যুশনের বাংলাদেশে নিযুক্ত কান্ট্রি ম্যানেজার এ এস এম সুজা উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গা শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে ছোট- বড় ড্রয়িং ও ক্যানভাস মিলিয়ে আমরা এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি আর্ট তৈরি করেছি। এই ছবিগুলো তাদের মানসিক শান্তি ফিরে পেতে সাহায্য করবে।
বিশষ্ট কার্টুনিস্ট তন্ময় সরকার বলেন, প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া সব ছবিই রোহিঙ্গা শিশু-কিশোর ও নারীদের আঁকা। এসব ছবি মূলত গল্পের ভেতরে আরেকটা গল্প। যেখানে রোহিঙ্গাদের জীবনের ছোট ছোট গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিটি ছবিতে তাদের অতীতের ট্রমা, দৈনন্দিন সংগ্রাম, পাওয়া না পাওয়ার হিসাব, নারী অধিকার সচেতনতা, স্বপ্ন ও মুক্তির চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রদর্শনী সংশ্লিষ্টরা জানান, আমাদের সমাজে রোহিঙ্গা শব্দটি অনেকে গালি হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছেন। রোহিঙ্গাদের নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করেছেন। একজন শিল্পীর কাজ সবকিছু গভীরভাবে দেখানো, মানবিক মূল্যবোধ তৈরি করা। মানুষের অধিকার সম্পর্কে জানানো। রোহিঙ্গা শিল্পীদের আঁকা ছবিগুলো এখানে প্রদর্শন করে সুদূর কক্সবাজারে অবস্থানরত তাদের প্রতি মানুষের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি ও নেতিবাচক ধারণা পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে।