সুদানে ফের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন,পারস্পরিক অপবাধের তীর
নিউজ ডেস্ক
আবারও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে সুদানে। বিবদমান পক্ষগুলোর এর জন্য একে অপরকে দায়ী করছে। সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় গত সোমবার যুদ্ধ বিরিতিতে রাজি হয় সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী।
সুদানে সোমবার রাতে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক মিনিটের মধ্যে শহরকে কাঁপানো বিমান এবং আর্টিলারি হামলার সাক্ষী হয় রাজধানী খার্তুমের বাসিন্দারা।
১৫ এপ্রিল থেকে সুদানের রাজধানী এবং দেশের অন্যান্য অংশে নিয়মিত সেনাবাহিনী- সুদানিজ সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) এর মধ্যে ক্ষমতার লড়াই শুরু হয়।
ছয় সপ্তাহ ধরা চলা লড়াইয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে রাজধানী খার্তুম। বিভিন্ন শহরেও চলছে হামলা- পাল্টা হামলা। এতে দেশটিতে তীব্র খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সংকট দেখা দিয়েছে। এই লড়াই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বুধবার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর নেতৃত্বে আরএসএফ সুদানের ডি ফ্যাক্টো নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে।
আরএসএফ বলছে, সেনাবাহিনী একের পর এক অযৌক্তিক আক্রমণ শুরু করেছে। আমাদের বাহিনী সেই আক্রমণগুলো প্রতিহত করছে। আমাদের বাহিনী সফলভাবে একটি এসএএফ মিগ জেট ফাইটারকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, সাঁজোয়া যানে মিলিশিয়াদের আক্রমণের যুদ্ধবিরতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে, কামান, ড্রোন এবং সামরিক বিমান ব্যবহারের পাশাপাশি রাজধানী খার্তুম এবং দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলে লড়াইয়ের বিষয়টি শনাক্ত করেছেন পর্যবেক্ষকরা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন যে অব্যাহত আছে সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমাদের নিষেধাজ্ঞার ক্ষমতা আছে। প্রয়োজনে আমরা সেই ক্ষমতা ব্যবহার করতে দ্বিধা করব না’।