সেনাবাহিনী প্রধানের পক্ষ হতে ঈদ উপহার পেলেন লংগদুর হতদরিদ্ররা
নিউজ ডেস্ক
পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে সেনাবাহিনী প্রধানের পক্ষ হতে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাঙামাটিস্থ লংগদু জোন।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল ১০টায় লংগদু জোনে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
একই সাথে এদিন উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভারও আয়োজন করেছে লংগদু জোন।
মতবিনিময় সভা ও উপহার সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল হিমেল মিয়া।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও যার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
এসময় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ঝান্টু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকিব ওসমান, লংগদু থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, লংগদু প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা এখলাছ মিয়া খানসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, হেডম্যান, কারবারি, সাংবাদিকবৃন্দ।
এছাড়াও লংগদু জোনের অফিসার বৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এসময় জোন অধিনায়কের কাছে উপজেলার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তার মধ্যে অন্যতম সমস্য উপজেলার বিভিন্ন খাস জায়গা বেদখল।এছাড়াও হেলমেট বিহীন মোটরবাইক চালকদের হেলমেট পড়ার জন্য কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করার দাবিও জানানো হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক গাড়ি চালক ও হেলমেট বিহীন চালকদের সচেতন করতে কঠোর অবস্থানে যেতে অনুরোধও জানানো হয়।
একই সভায় মাইনী গাঁথাছড়া হতে ১৪ নাম্বার বিলের উপর দিয়ে সড়ক তৈরি করে দেওয়ায় জোনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে কেদারমারা ও আমতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদ্বয়।
কেদারমারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিল্টু চাকমা বলেন, এ বছর আমার ইউনিয়নে পানি সংকটে পড়েছিলাম, কিন্তু ঠিক সময় লংগদু সেনাজোনের জোন অধিনায়ক স্যার আমার এলাকায় বেশ কয়েকটি নলকূপ স্থাপন করে পানি সংকটের নিরসন করেন।
এ সময় জোন অধিনায়কের কাছে বাইট্টাপাড়া থেকে নানিয়ারচর হয়ে রাঙ্গামাটির রাস্তাটির কথা তুলে ধরে উপস্থিত সকলকে আশ্বাস দিয়ে জোন অধিনায়ক বলেন, ‘খুব শীঘ্রই রাস্তাটি কাজ নিয়ে সামনে আগাবো, সাধারণ মানুষ চলাচলের সুবিধার্থে যা করার আমরা তা করার চেষ্টা করবো।’
তিনি আরও বলেন, যে কোনো এলাকায় যদি মেডিক্যাল ক্যাম্পাইনের প্রয়োজন হয় অবশ্যই জনপ্রতিনিধিরা আমাদের জানালে আমরা দ্রুত মেডিক্যাল ক্যাম্পাইনের ব্যবস্থা করে দিবো।
