বিশ্ব আদিবাসী দিবস ও বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পর্যালোচনা - Southeast Asia Journal

বিশ্ব আদিবাসী দিবস ও বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পর্যালোচনা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

ড. মো. আবদুর রহিম

প্রতিবছর ৯ আগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবস হিসেবে পালিত হয়। বাংলাদেশ সরকার অবশ্য আদিবাসী পরিভাষাটি গ্রহণ করে না। সরকার সাংবিধানিকভাবে এসব জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা এবং রাজনৈতিক ও অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত করতে সংবিধানে যুক্ত করেছে বিষয়টি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আদিম জনগোষ্ঠীর পরিচয়সূচক শব্দ নিয়ে বিভিন্ন মতামত প্রচলিত আছে। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে এ বিষয়ে বিদ্যমান অবস্থা আলোচনা করাই নিবন্ধের মূল উদ্দেশ্য।
১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষরকারী পক্ষদ্বয় সম্মত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে ঐ অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ এবং সেখানকার সার্বিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে নেয়। চুক্তি স্বাক্ষরের পর এর বাস্তবায়ন ও সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে দৃশ্যমান কিছু অগ্রগতিও সূচিত হয়েছে। যদিও এখনো চুক্তির পুনর্বাস্তবায়নে উভয় পক্ষকে একসঙ্গে আরও অনেক কাজ করতে হবে। এ ছাড়াও সমভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও তাদের নিজস্বতা সংরক্ষণের বিষয়েও সরকার গুরুত্ব প্রদান করে।
আলোচনার সুবিধার্থে নৃ-গোষ্ঠী এবং আদিবাসী শব্দ সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করা প্রয়োজন। সাধারণভাবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হলো একটি বৃহত্তর সমাজে জনসংখ্যার সেই অংশ, যারা জাতি, ভাষা, সংস্কৃতি, দ্বারা সাধারণ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আদিবাসী শব্দটি ল্যাটিন ‘ইনডিজেনা’ শব্দ থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ ‘ভূমি থেকে উদ্ভূত স্থানীয়’। সাধারণভাবে যে সব অধিবাসী কোনো একটি অঞ্চলের প্রথম বাসিন্দা এবং তাদের বংশধর- যারা তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য বা প্রাথমিক সংস্কৃতির অন্যান্য দিক বজায় রেখে জীবধারা চলমান রাখে, তারা সেই নির্দিষ্ট অঞ্চলের আদিম অধিবাসী হিসেবে পরিগণিত হয়। আদিবাসী শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয় আফ্রিকা থেকে আমেরিকায় জোরপূর্বক অভিবাসিত জনগোষ্ঠীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে। সম্ভবত ১৯৬৪ সালে স্যার টমাস ব্রাউন আদিবাসী টার্মটি প্রথম ব্যবহার করেন। সাধারণভাবে আদিবাসী জনগোষ্ঠী বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর দ্বারা উপনিবেশিতের স্বীকার হন। যা হোক, আদিবাসী ধারণাগত বিষয় নিয়ে একাডেমিক এবং আইনি স্বীকৃতি বিষয় নিয়ে ডিসকোর্স চলমান রয়েছে।

জাতিসংঘ ২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে একটি ঘোষণাপত্র অনুমোদন করে। ১৪৩টি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ, রাশিয়া ভূটানসহ ১১টি দেশ এই ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর প্রদানে বিরত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এ প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে। ৩৪টি দেশ অধিবেশনে ছিল অনুপস্থিত। এর আগে ১৯৮২ সালে জাতিসংঘের একটি ঐচ্ছিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইনডিজেনাস পপুলেশন’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮২ সালের ৯ আগস্ট প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সেই থেকে ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, মানবাধিকার রক্ষা, উন্নয়ন এবং আদিবাসীদের মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করা। সংস্থাটি ‘ইউনাইটেড নেশন পারমানেন্ট ফোরাম অন ইনডিজেনাস ইস্যুজ’ এর অনুকরণ করে বলে মত প্রকাশ করে অনেক দেশ এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানায়। তবে কিছু এনজিও এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠী এ প্রতিষ্ঠান চলমান রাখার পক্ষে অ্যাডভোকেসি করে। তাদের যুক্তি, টঘচঋওও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান নয়।

ভাষা, সংস্কৃতি, সামাজিক অনুশীলন, ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী দেশভেদে আদিবাসী এবং নৃ-গোষ্ঠী বিষয়ক পরিভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে বাইরের মানব গোষ্ঠী কর্তৃক নেটিভ জনগোষ্ঠীর উপনিবেশিত হওয়া সত্ত্বেও জাতিসংঘ ঘোষিত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রের বিরোধিতা করে। ভূ-তত্ত্বের গঠনগত দিক থেকে অনেকটা নতুন ভৌগোলিক সত্তা বাংলাদেশ। এখানে মানব বসবাসের ইতিহাস কতটা পুরাতন, তা অনির্ণীত। যতটুকু জানা যায়, এখানে শত শত বছর ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন মানব গোষ্ঠীর আগমন এবং বসবাসের মধ্য দিয়ে একটি সমন্বয়বাদী সমাজের বিকাশ লাভ করেছে।

একই সঙ্গে বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর উপস্থিতি বাংলাদেশের সমাজকে সাংস্কৃতিক দিক থেকে করেছে সমৃদ্ধ। বিভিন্ন জাতির নরগোষ্ঠীর আগমনের কারণে ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ ভারতবর্ষকে বলেছেন নৃতত্ত্বের জাদুঘর। বাংলাদেশ ভারতীয় সভ্যতার অংশ হওয়ায় একই অভিধা এখানকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক আরএম ইটনের মতে, বাংলাদেশ ‘ফ্রন্টিয়ার জোন’ হওয়ায় মানব অভিগমনের স্রোত এখানে এসে থেমে গেছে। চারদিকে ভিন্ন ভৌগোলিক পরিম-লের দ্বারা পরিবেষ্টিত ছোট্ট এ অঞ্চলের মানুষের জীবন ধারণের উপকরণের সর্বজনীন উৎস ধর্ম-গোত্র নির্বিশেষে একে-অপরের মধ্যে অংশীদারিত্বমূলক মনোবৃত্তির জন্ম দেয়। অধিবাসীদের এই সমন্বয়বাদী চেতনা বহুত্বের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে সাহায্য করেছে। তবে কারা এখানকার আদি মানবগোষ্ঠী, সে বিষয়ে নৃ-তত্ত্ববিদ ও ঐতিহাসিকগণ কোনো সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারেনি।

ঐতিহাসিকদের ধারণা, আর্য-পূর্ব যুগে অনার্য ভাষাভাষী অস্ট্রো-এশিয়াটিক জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল। বঙ্গ শব্দটি অস্ট্রো-এশিয়াটিক উৎস থেকে এসেছে বলে ইতিহাসবিদ নীহাররঞ্জন রায় মত দিয়েছেন। ঋগে¦দে ঐতরেয় আরণ্যকে বঙ্গজন ও জনপদ সম্পর্কে প্রথম জানা যায়। ভৌগোলিক পরিচয়, ভাষা এবং জাতিগত পরিচয় যথাক্রমে বঙ্গ, বাংলা এবং বাঙালি একই সূত্রে গাঁথা। বাংলা ভাষা বিকাশের ইতিহাস হাজার বছরের কম নয়। এ অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের ভাষা আর্যরা বুঝতো না বলে পাখির সঙ্গে তুলনা করেছিল। ঐতিহাসিকদের মতে, পূর্ববাংলার (আধুনিক বাংলাদেশ) সংস্কৃতিতে আর্য প্রভাব কম। নৃবিজ্ঞানীদের মতে, অষ্ট্রিক দ্রাবিড়, হোমো আলপিনাস, ইন্দো-আর্য নৃজাতিক উপাদান নিয়ে বাংলার নরগোষ্ঠী গঠিত।

কোল, মুন্ডা, সাঁওতাল প্রভৃতি অষ্ট্রিক এবং চাকমা, মণিপুরী প্রভৃতি মোঙ্গলীয় জনধারা বাঙালির মূল স্রোতে মিশে গেছে। এনথ্রোপোলোজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার পরিচালক রণজিত কুমার ভট্টাচার্যের মতে, ‘বাংলার নৃতাত্ত্বিক অবস্থান এক মহাবৈচিত্র্যের, যা থেকে সৃষ্টি হয়েছে এক সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী, যার শারীরিক বৈশিষ্ট্য এবং সাংস্কৃতিক পূর্বাবস্থায় ছিল মিশ্রণ বা গভীর সংকরায়ন। এ সকল জনগোষ্ঠীর ভাষার প্রাচীনত্বও অধিবাসীদের পরিচয়সূচক জীবনধারা নির্ণয়ের জন্য বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে।

বিভিন্ন বিবর্তনের মধ্য দিয়ে চৌদ্দশতকের মধ্যে বাংলাভাষার বর্তমান রূপ পরিগ্রহ করে বলে অনেকে মত দেন। এ ভাষার আদিরূপ চর্যাগীতিতে রয়েছে। অন্যদিকে, পার্বত্যাঞ্চল ও সমতল অঞ্চল মিলে প্রায় অর্ধ শতাধিক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে এদেশে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য মতে, পার্বত্যাঞ্চলের পাহাড়ে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর আদি বাসস্থান চীন, মিয়ানমার, ত্রিপুরা, মণিপুর, কম্বোডিয়া, আন্দামান, নিকোবর প্রভৃতি অঞ্চলে। এ সকল জনগোষ্ঠী রাজনৈতিক কারণে অথবা পেশাগত বৈশিষ্ট্যের কারণে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে বসতি স্থাপনের ক্রমধারায় পার্বত্যাঞ্চলে এসেছিল বলে ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মেলে।

অনেকের মতে, এ সকল মানব গোষ্ঠীর এই অভিবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয় খ্রিষ্টীয় ষোড়শ শতক বা তার পরে। এ ছাড়া এ সকল জনগোষ্ঠী অভ্যন্তরীণ বা অন্য কোনো ধরনের কলোনাইজেশনের স্বীকার হয়নি। সে কারণে বাংলাদেশ সরকার এই জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে আদিবাসী পরিভাষা ব্যবহার করে না। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তিচুক্তির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে ‘উপজাতি’, ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’, ‘নৃ-গোষ্ঠী’ পরিভাষা গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ সংবিধানের ২৩ক অনুচ্ছেদ অনুসারে ‘রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’ এ থেকে ধারণা করা যায়, বাংলাদেশ সরকার যেহেতু জাতিসংঘ গৃহীত আদিবাসী পরিভাষার সঙ্গে একমত পোষণ করে না, তাই জাতিসংঘের ঘোষণায় স্বাক্ষর করেনি। কিন্তু বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর সমতা বিধানে সরকার বদ্ধপরিকর।

সরকার মনে করে, বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কোনো মানব গোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সপক্ষে যথেষ্ট ঐতিহাসিক বা বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণ নেই। এ ছাড়াও জাতিসংঘের আদিবাসী সংক্রান্ত ঘোষণায়- তাদের ভূখ-ে সম্পদের অধিকার, সংস্কৃতি রক্ষার অধিকার এবং রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে এখানে সরকারের তরফ থেকে কোনো দ্বিমত না থাকা সত্ত্বেও একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্ষুদ্র জাতি সত্তার অধিবাসীদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে পরিগণিত করার দাবি তুলছে। এর মাধ্যমে পার্বত্য শান্তিচুক্তি এবং সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে স্থিরিকৃত একটি বিষয়কে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে অস্থিতিশীল করার একটি প্রচেষ্টা বলে অনেকে মনে করেন। কিছু এনজিও প্রতিষ্ঠানও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে বলে প্রতীয়মান হয়।

আমরা মনে করি, ১৯৯৭ সালের শান্তিচুত্তির মাধ্যমে দীর্ঘ বিরোধপূর্ণ পার্বত্যাঞ্চলে একটি টেকসই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় হানাহানি অনেকটা কমে এসেছে। পাহাড়ে বসবাসরত জনগোষ্ঠী এদেশের সমমর্যাদা সম্পন্ন নাগরিক। তাদের বৈচিত্র্যময় এবং সাংস্কৃতিক ও নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য এ দেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রক্ষা এবং জীবনমানের উন্নয়নে সরকার শান্তিচুক্তিতে সংযুক্ত প্রতিশ্রুতির পূর্ণ বাস্তবায়ন করবে, সে প্রত্যাশা সবার। সে ক্ষেত্রে পরিচয়সূচক ভাষা অন্তরায় সৃষ্টি করবে না বলেই মনে করি। কোনো মহলের স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে পাহাড়ে এবং সমতলে বসবাসরত ক্ষৃদ্র জাতিসত্তা বা নৃ-গোষ্ঠীর ‘সেন্টিমেন্ট’ যেন উস্কে দেওয়া না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।

লেখক : অধ্যাপক, প্রাধ্যক্ষ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
mrahim77@du.ac.bd