পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করলে সহযোগীতা করবে র‍্যাব

পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করলে সহযোগীতা করবে র‍্যাব

পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করলে সহযোগীতা করবে র‍্যাব
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সদস্যরা আত্মসমর্পন করলে তাদের সহযোগীতা ও পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। বুধবার বিকেলে বান্দরবানের রুমা ও থানচি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘সশস্ত্র সংগঠনের যারা বিপথে গিয়েছে তারা যদি আত্মসমর্পণ করে, নিজেরা যদি মনে করে তাদের সুপথে ফিরে আশা উচিত, তাহলে তাদেরকে সকল ধরনের সহযোগীতা ও পুর্নবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শান্তি আলোচনার পথ সবসময়ই খোলা আছে।’

গত ২ এপ্রিল রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে ৮টি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। এর পরদিন থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।

৪ এপ্রিল রাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে রুমা বাজার থেকে উদ্ধার করে র‍্যাব। এর পরপরই থানচি থানা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনেন স্থানীয়রা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই গোলাগুলি চলে।

স্থানীয়রা বলছেন, থানচি থানার পাশে প্রথম গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে তা থানচি বাজারের কাছে চলে আসে। এ সময় কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময় হয়। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে তাঁরা প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে।

এর রেশ কাটতে না কাটতেই ওইদিন মধ্যরাতে আলীকদমের ২৬ মাইল ডিম পাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর চেক পোস্টে হামলা হয়। সবগুলো ঘটনার সঙ্গেই কেএনএফ জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এরপর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। অভিযানের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল কেএনএফের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওশিম বমসহ প্রায় অর্ধশতাধীক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এদের মধ্যে সংগঠনটির অনেক নারী সদস্যও আছেন।

র‍্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘তারা যদি শান্তি কমিটির মাধ্যমে নিজেরা সুপথে ফিরে আসতে না চান তাহলে এখানে ডিসি, এসপি, এনএসআই, ডিজিএফআই, র‍্যাব তাদের মাধ্যমেও আত্মসমর্পণ করে শান্তির পথে ফিরে আসুক। কারন আমরা স্বাধীন দেশে রক্তপাত চাই না। আমরা চাই বিপদগামী সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা ফিরে আসুক।’

খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘একটি স্বাধীন দেশে, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোন সশস্ত্র অবৈধ সংগঠন থাকবে না। তাদের উৎখাত করা না পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।