কাপ্তাই হ্রদে মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

কার্প জাতীয় মাছের বংশবিস্তার ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের মাছ আহরণ, বাজারজাত ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান মাছ আহরণ নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।

কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) সূত্র জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদে কার্প প্রজাতির মা মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করার জন্য ডিম ছাড়ার মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। কাপ্তাই হ্রদ দেশের কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের একটি অন্যতম স্থান। এ সময় মাছ শিকার বন্ধে কাপ্তাই হ্রদে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। স্থানীয় বরফ কলগুলোও এসময় বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটির ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানান, এবছর প্রায় সাত হাজার মেট্রিক টন মাছ আহরণের বিপরীতে প্রায় ১৩ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। গত বছর হ্রদে পানি কম থাকায় ও গত ছয় মাস ধরে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ছোট মাছ জন্মানোর সুযোগ কম। এবার মাছের আহরণ অন্যান্য সময়ের তুলনায় কিছুটা কম। রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলা মিলে সরকারি তালিকাভুক্ত প্রায় ২২ হাজার জেলে রয়েছেন বলে তিনি জানান।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক নিশ্চিতকরণে ১ মে থেকে আগামী তিনমাস কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মাছ শিকার বন্ধে নৌপুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিমও কাজ করে যাবে। এসময় কেউ হ্রদে মৎস্য আহরণ করলে অপরাধ অনুযায়ী তাকে দণ্ড দেয়া হবে।