পাহাড়ি নেতাদের ঘোরপ্যাঁচে বিপাকে দুর্গমের বাসিন্দারা - Southeast Asia Journal

পাহাড়ি নেতাদের ঘোরপ্যাঁচে বিপাকে দুর্গমের বাসিন্দারা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

আলমগীর হোসেন, রাঙামাটি থেকে ফিরে

মুখে পাহাড়িদের অধিকারের বুলি, আর গোপনে অস্ত্রের ঝনঝনানি। পার্বত্য অঞ্চলের আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর এমন দ্বিমুখী তৎপরতায় বিপাকে পড়েছেন দুর্গম এলাকার পাহাড়ি ও বাঙালি বাসিন্দারা। একদিকে প্রকাশ্যে সংগঠনের ব্যানারে রাজনৈতিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাসিন্দাদের জন্য ফাঁকা বুলি ছাড়ানো হচ্ছে, অন্যদিকে গোপনে অস্ত্রের মুখে চলছে এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির তৎপরতা। কথামতো চললে ভালো, আর না শুনলেই গুলি, অপহরণ বা নানারকম নির্যাতন চালাচ্ছে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনগুলো। তবে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী নিরীহ পাহাড়ি-বাঙালিদের প্রধান চাওয়া এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। সরকারের সদিচ্ছায় যেভাবে পাহাড়ি অঞ্চলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার দাবি জানাচ্ছেন সাধারণ বাসিন্দারা। সরেজমিন পার্বত্য রাঙামাটিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দা, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায় এসব তথ্য।

জানা যায়, পার্বত্য চুক্তি তথা শান্তি চুক্তির পরও চুক্তির পক্ষে স্বাক্ষরকারী সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও চুক্তির বিরোধীপক্ষ ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-প্রসীত) সশস্ত্র শাখার মাধ্যমে অদ্যাবধি অস্ত্রবাজি ও চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে একই ধরনের অপতৎপরতায় যুক্ত হয়েছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ), জেএসএস-সংস্কার এবং ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক এবং মগ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (এমএনপি)। স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, চাঁদাবাজির টাকার সিংহভাগ এসব সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতাকর্মীদের পরিবার ও সন্তানদের আরাম-আয়েশের পেছনে ব্যয় হয়। এমনকি তাদের কেউ কেউ সন্তানদের বিদেশে পড়ালেখা করানোর পাশাপাশি সম্পদ ক্রয় করেছেন। পাহাড়ে নিজেরা আধিপত্য নিয়ে সংঘাত-অশান্তি সৃষ্টি করে সেখানেও দায় চাপানো হয় সরকারকে বা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর। এসব ক্ষেত্রে কতিপয় ‘বুদ্ধিজীবীকে’ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে আঞ্চলিক সংগঠনের পক্ষে নানা প্রেক্ষাপটে কথা বলানো হয়ে থাকে। যদিও এসব বিষয়ে জেএসএস প্রধান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার সঙ্গে রাঙামাটি শহরে সরাসরি কথা বলার জন্য সময় চাওয়া হলেও তিনি সময় দেননি। এ ছাড়া মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাঙামাটির স্থানীয়রা বলেছেন, ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তির (শান্তি চুক্তি) পর থেকে সরকারের নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ফলে পার্বত্য তিন জেলায় (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) আর্থ-সামাজিক খাতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। যেখানে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় পায়ে হেঁটে যেতে দুই-তিন দিন লাগত, সেই পথ এখন উন্নত রাস্তার কারণে মাত্র এক থেকে দুই ঘণ্টা সময়ের মধ্যে চলে এসেছে। কৃষি অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে অপার সম্ভাবনা। উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থার ফলে পর্যটকরা এখন নতুন নতুন দৃষ্টিনন্দন পাহাড়ি এলাকা অনায়াসে ঘুরে দেখতে পারছেন। কিন্তু পাহাড়ের এসব উন্নয়ন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো। পার্বত্য অঞ্চলিক সংগঠনের নেতারা মনে করছেন, উন্নয়ন-আধুনিকতার কারণে পাহাড়ে তাদের নিজেদের ‘আধিপত্য’ শেষ হয়ে যাচ্ছে। কেননা আধুনিক রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, শিক্ষা-স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান যতই বাড়ছে ততই আঞ্চলিক সংগঠনের নেতাদের প্রাধান্য কমে যাচ্ছে।

গত ২৭ নভেম্বর রাঙামাটির বরাদম (আসামবস্তি সড়ক) এলাকায় একটি দোকানের সামনে কথা হয় স্থানীয় যুদ্ধরাম চাকমার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি কৃষি-বাগানে কাজ করি। এই এলাকায় একসময় কিছুই ছিল না। আশপাশে যেতেও নৌকা, ট্রলার বা পায়ে হেঁটে যেতে হতো। যেখানে সারা দিনের ব্যাপার ছিল, এখন সেখানে মাত্র দুই ঘণ্টায় সব কাজ করা যাচ্ছে। সবখানে উন্নত রাস্তাঘাট হয়েছে। আমরা উঁচু পাহাড়ে থাকি, এখানেও বিদ্যুৎ বা সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা আছে। কৃষি বা ফলদ পণ্য সহজেই এখন বাজারে নিতে পারছি। আয়-রোজগারে সংসারও চলছে ভালোই।’ আঞ্চলিক সংগঠনের সন্ত্রাসী তৎপরতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আগে তারা অনেক অশান্তি করেছে। কিন্তু এখন এই এলাকায় তাদের প্রকাশ্য তৎপরতা তেমন নেই। শুনি মাঝেমধ্যে আশপাশে আসে। কিন্তু আশপাশে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থাকায় সন্ত্রাসীরা আর এদিকে আসতে পারে না।’

একই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাঙামাটির রাজমনিপাড়ার ‘কারবারি’ রঞ্জিত ত্রিপুরা বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, স্থানীয়দের মধ্যে শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং সেনাবাহিনীর নজরদারির কারণে আগের মতো আর সেই সশস্ত্র কর্মকা- চালাতে পারছে না সংগঠনগুলো। লোকমুখে শুনি, অনেককেই নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়।’

এসব বিষয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, পাহাড়ের সাধারণ বাসিন্দারা আর বোকা হয়ে থাকছে না। তারা নিজেরাই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন দেখে বিস্মিত হচ্ছে। ফলে পাহাড়ের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর কৌশলী তৎপরতা সেভাবে আর কাজে আসছে না। তবে দুর্গম এলাকাগুলোতে তাদের তৎপরতা রয়ে গেছে। প্রতিটি পণ্যবাহী যানবাহন থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে নীরব চাঁদাবাজি হচ্ছে। মূলত এই চাঁদাবাজির টাকা ও এলাকার আধিপত্য নিয়ে নিজেদের মধ্যে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো সংঘাতে জড়াচ্ছে। অনেক সময় ভীতি ধরে রাখতে নিরীহ পাহাড়ি বা বাঙালিদের ওপর নির্যাতন বা হত্যার ঘটনা ঘটাচ্ছে। ফলে নির্মাণাধীন সীমান্ত সড়ক সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হয়ে গেলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অপতৎপরতা আরও অনেকাংশেই কমে যাবে। তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তি তথা শান্তি চুক্তির পর সরকার অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু এই জনগোষ্ঠীর পক্ষে স্বাক্ষরকারী জেএসএস প্রধান সন্তু লারমার জন্য মাত্র দুটি ধারা তথা অস্ত্র জমা ও আত্মসমর্পণ করার বিষয় ছিল সেটাই তিনি বাস্তবায়ন করেননি। এখন সন্তু লারমা বলে থাকেন, তাদের কোনো সশস্ত্র গ্রুপ নেই। তা হলে অভ্যন্তরীণ খুনোখুনি, অত্যাধুনিক অস্ত্র যেগুলো আমরা দেখি বা শুনি এগুলো কারা বা কে করছে? সেটাও তো সন্তু লারমা বের করছেন না। তিনি তো এই জনগোষ্ঠীর নেতা। অর্থাৎ সাধারণভাবে চিন্তা করলেই আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর দুই রূপ আমরা দেখতে পাই। একটি হলো প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, অন্যটি অপ্রকাশ্য সশস্ত্র কর্মকাণ্ড। এ জায়গায় সরকার ও সাধারণ মানুষকে চিন্তা করতে হবে।’

একই বিষয়ে সরাসরি আলাপকালে রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, আঞ্চলিক সংগঠনগুলো নিজেদের সুবিধার জন্য পার্বত্য অঞ্চলে মেডিকেল কলেজ, বিশ^বিদ্যালয় স্থাপনেরও ব্যাপক বিরোধিতা করে। কেননা এখানকার সাধারণ মানুষ শিক্ষিত হয়ে গেলে সংগঠনগুলোর নেতারা তাদের আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। এ জন্য ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সাধারণ বাসিন্দাদের ভুল বুঝিয়ে অনেক সময় ভুলপথে পরিচালিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। তবে এখানকার সাধারণ মানুষ সশস্ত্র সংগঠনের তৎপরতায় কিছুটা আতঙ্কে থাকলেও শান্তি চুক্তি নিয়ে তেমন একটা ভাবে না। কেননা যেভাবে সবক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে বা হচ্ছে তাতে দুই-চারটি ধারা বাস্তবায়ন হলেই কি না হলেই কি, এসব নিয়ে কেউ ভাবে না। কিন্তু এটা ঠিক, সরকার এসব ক্ষেত্রে আন্তরিক হলেও জেএসএস বা সন্তু লারমা কেন অসহযোগিতা করে যাচ্ছেন সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

গবেষণার কাজে সম্প্রতি সরেজমিন পার্বত্য অঞ্চল পরিদর্শন করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলে কতিপয় পাহাড়ি উপজাতি নেতার ইশারায় নানা অপতৎপরতা চলছে। বিশেষ করে দুর্গম এলাকাগুলোতে ওই নেতাদের প্রভাব অনেক বেশি। সেখানে সাধারণ নিরীহ পাহাড়ি বা বাঙালিরা কৌশলে টিকে থাকছেন। কেননা আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর তৎপরতার বিষয়ে মুখ খুললেও বিপদে পড়তে হয়। ওই নেতাদের হয়ে অনেক সময় কথা বলতে হলেও পাহাড়জুড়ে উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে সে বাস্তবতাকেও তাদের অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ফলে দুর্গমের বাসিন্দারা অনেকটা বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে টিকে আছেন।

এ প্রসঙ্গে রাঙামাটি জেলার এসপি মীর আবু তৌহিদ বলেন, পার্বত্য জেলাগুলোতে বিশেষ করে রাঙামাটির বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনের চাঁদাবাজি-অস্ত্রবাজির অভিযোগ আছে। এগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু দুর্গম এলাকায় অভিযানে গেলেও তাদের সেখানে পাওয়া যায় না। এখানে ভৌগোলিক সমস্যার সুযোগটি তারা নিতে পারে। তারপরও এসব বিষয়ে পুলিশসহ সব সংস্থায় অধিক সতর্কভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

জানা যায়, স্বাধীনতা সংগ্রামের পরবর্তী সময়ে কিছু পাহাড়ি উপজাতীয় নেতা অধিকার আদায়ের নামে ১৯৭৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠন করে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহিদ হওয়ার পর দেশের রাজনীতির পটপরিবর্তন হলে ১৯৭৬ সাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে রূপ নেয়। ১৯৭৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির গঠিত সশস্ত্র সামরিক শাখা ‘শান্তি বাহিনী’ সর্বপ্রথম সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করে। প্রায় দীর্ঘ দুই যুগ ধরে বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনী ও শান্তি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সব সংঘর্ষে বহু সামরিক-বেসামরিক লোক নিহত ও আহত হয়। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাকে তখন জনসংখ্যা সমস্যার পর দুই নম্বর জাতীয় সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদন করে। এর মাধ্যমে অস্ত্র সমর্পণ করে কিছু শান্তি বাহিনীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলেও অনেকেই অস্ত্র জমা বা স্বাভাবিক জীবনে ফেরেনি।

সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, উপজাতীয় নেতাদের শত বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী (বর্তমানেও প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা যুগান্তকারী এক পদক্ষেপ নিয়ে ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তি সম্পাদন করেন। ওই চুক্তির মধ্যে ৭২টি ধারার সর্বমোট ৯৮টি উপধারা আছে। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৮৬টি উপধারা সরকার সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করেছে। এ ছাড়া চারটির আংশিক বাস্তবায়িত এবং ৮টির বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। অন্যদিকে চুক্তির অপরপক্ষ জেএসএস তথা সন্তু লারমার দুটি ধারা বাস্তবায়নের কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। উপরন্তু পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন। এমনকি পাহাড়ে সংকট জিইয়ে রাখতে সরকারের বিরুদ্ধে বা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও নানা সময়ে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।