মিয়ানমার পাচারকালে বিপুল পরিমাণ ভোগ্য পণ্য ও ঔষধসহ আটক ৩ - Southeast Asia Journal

মিয়ানমার পাচারকালে বিপুল পরিমাণ ভোগ্য পণ্য ও ঔষধসহ আটক ৩

মিয়ানমার পাচারকালে বিপুল পরিমাণ ভোগ্য পণ্য ও ঔষধসহ আটক ৩
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজারের সাগর উপকূল দিয়ে পাচারের চেষ্টাকালে ভোজ্যতেল, আটা, চিনি ও রসুনসহ বেশ কিছু পরিমাণ খাদ্যপন্য ও ঔষধ জব্দ করেছে র‌্যাব। এ সময় পাচারকাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন পাচারকারিকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান, র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

আটকরা হলেন কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম এলাকার মরহুম হাসন আলীর ছেলে আবু তাহের (৫০) এবং টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মরহুম মো: শরীফের ছেলে মো: তৈয়ব (২৪)। এছাড়া আটক অপরজন হল, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাহারঘোনা এলাকার মরহুম আব্দুর রহমানের ছেলে কবির আহমদ (৫৩)।

জব্দ করা খাদ্যপণ্যগুলো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে থাকা প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের রাখাইনে পাচারের জন্য মজুদ করা হয়েছিল বলে দাবি করছে র‌্যাব।

কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে কক্সবাজার শহরের মাঝেরঘাট এলাকায় খুরুশকূল ব্রিজের দক্ষিণ পাশে কতিপয় লোকজন যুদ্ধপরিস্থিতিতে থাকা মিয়ানমারে পাচারের জন্য বেশ কিছু পরিমাণ খাদ্যপন্য মজুদ করার খবরে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্দেহজনক চার-পাঁচজন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।

এ সময় আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, মিয়ানমারে পাচারের জন্য তারা বেশ কিছু পরিমাণ খাদ্যপন্য মজুদ করেছে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে, স্থানীয় একটি বাসা থেকে ৫৩টি বস্তায় দুই হাজার ১২০ লিটার সয়াবিন তেল, ১৭টি বস্তায় ৮৫০ কেজি আটা, ১৫টি বস্তায় ৭৫০ কেজি চিনি, ১২টি বস্তায় ৪৮০ কেজি রসুন উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা এসব খাদ্যপন্যের আনুমানিক মূল্য ছয় লাখ টাকার বেশি।

আটকদের দেয়া তথ্যের বরাতে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমারে সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে দেশটির রাখাইন রাজ্যে বেশ কিছু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে পন্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় রাজ্যটিতে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে সীমান্তের যুদ্ধপরিস্থিতির মধ্যেও পাচারকারি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর চক্রটির সদস্যরা কক্সবাজার উপকূলবর্তী সাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে খাদ্যপন্য পাচার করে আসছিল।

আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

  • আন্তর্জাতিক অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন