প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করল সেনাবাহিনীর লক্ষীছড়ি জোন

প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করল সেনাবাহিনীর লক্ষীছড়ি জোন

প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করল সেনাবাহিনীর লক্ষীছড়ি জোন
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর  শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

তারই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড ও গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন লক্ষীছড়ি জোন কর্তৃক পরিচালিত বাইন্যাছোলা-মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, আর্থিক অনুদান, শিক্ষা সহায়ক ও খেলাধুলার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করল সেনাবাহিনীর লক্ষীছড়ি জোন

আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষীছড়ি জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ তাজুল ইসলাম।

তিনি বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সংবর্ধনা ও অনুদানের অর্থ তুলে দেন।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করল সেনাবাহিনীর লক্ষীছড়ি জোন

জানা যায়, বাইন্যাছোলা-মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থী ফৌজিয়া রহমান চৌধুরী বুশরা ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। এ অর্জনকে ঘিরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে বিশেষভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এছাড়া বিদ্যালয়ের আরও দুইজন ছাত্রী খাগড়াছড়ি জেলা অনূর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবল দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন, যারা জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিভাগে অংশ নেবেন। তাদেরও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করল সেনাবাহিনীর লক্ষীছড়ি জোন

এছাড়া, লক্ষীছড়ির প্রতিভাবান দুই ফুটবলার ক্রাথুইপ্রু মারমা ও ক্রউচিং মারমাকেও বিশেষ অনুদান প্রদান করা হয় এদিন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নাজমুল হুদা এবং অন্যান্য শিক্ষকরাও ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফলাফল অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা পান সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে।

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষা সহায়ক সামগ্রী হিসেবে একটি ল্যাপটপ, একটি প্রজেক্টর, প্রজেক্টর স্ক্রিন এবং খেলাধুলার সামগ্রী হিসেবে ফুটবল ও ক্যারাম বোর্ড প্রদান করা হয়।

এসময় জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তাজুল ইসলাম জানান, এই উদ্যোগ কেবল শিক্ষার্থীদের ফলাফল উন্নত করবেই না, বরং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ, দলগত চেতনা, শৃঙ্খলা ও নেতৃত্বের গুণাবলী বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করল সেনাবাহিনীর লক্ষীছড়ি জোন

জোন অধিনায়ক আরও জানান, লক্ষীছড়ি জোন ভবিষ্যতেও এ অঞ্চলে শিক্ষার উন্নয়ন ও সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে তুলতে কাজ করে যাবে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম পাহাড়ি ও বাঙালি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষা ও খেলাধুলায় নতুন অনুপ্রেরণা যোগাবে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

You may have missed