সেনাবাহিনীকে ব্যর্থ প্রমানিত করতে কারা এসব অপতৎপরতা চালাচ্ছে?

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে দুটি বড় ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেছে। একটি সকালে রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে অপরটি সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, সকালে মিরপুর ১৪ নম্বরে একটি পোশাক শিল্প কারখানার শ্রমিকরা বেতন-ভাতার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে নামে। এসময় পুলিশ ও দায়িত্বরত সেনাসদস্যরা শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে গেলে তাদের সাথে পোশাক শ্রমিকদের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে শ্রমিকরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এসময় বহিরাগত বেশ কয়েকজন যুবক ভিড়ের মধ্যে থেকে এগিয়ে গিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুটি গাড়িতে ভাংচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টিকে শেখ হাসিনার দোসর দাবি করে ছাত্রদের একটি পক্ষ মিছিল নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গেলে তাদের সাথে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীর সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় একটি সূত্র জানায় এসময় হেলমেট পরিহিত কিছু যুবক পার্টি অফিসে প্রবেশ করে সেখানে ভাংচুর ও আগুন দেয়।
তবে সব দেখে মনে হচ্ছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রত্যক্ষ মদদে টোকাই লীগের সন্ত্রাসীরা এসবে জড়িত। দুটি ঘটনায় একটি বিষয় প্রতিয়মান হয় যে, একটি পক্ষ দেশটাকে পুনরায় অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
বিশেষ করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার সাহেবের আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের বেশ কয়েকটি মুলধারার রাজনৈতিক দল সেনা সদরে গিয়ে মিটিং করেন। সেনাপ্রধান সেদিন ক্রান্তিলগ্নে দেশটাকে সুশৃঙ্খল ভাবে এগিয়ে নেয়ার মহৎ লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে আসেন। এর আগে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয় সোনার বাংলা। ৫ আগষ্টের পর জেনারেল ওয়াকারের একান্ত প্রচেষ্টা ও রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে দেশে একটা অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হয়। তবে আজ অবধি সেনাবাহিনী পতিত স্বৈরাচারের নানা ষড়যন্ত্র ভেদ করে দেশবাসীকে স্বস্তি দেবার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায়, দেশটা যখন ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে, ঠিক তখনি পতিত স্বৈরাচারের দোসররা কি পুনরায় সেনাবাহিনীকে উস্কানি দিয়ে দেশে দেশে আরেকটা অস্থির পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে? নাকি সেনাবাহিনীকে ব্যর্থ প্রমাণীত করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে?
আশাকরি, এসব ষড়যন্ত্রকে তুড়ি মেরে জেনারেল ওয়াকারের নেতৃত্বে দেশবাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী তাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে হলেও জনগনের পাশে থাকবে, খুঁজে বের করবে এসব অপতৎপরতার পেছনের কুশিলবদের।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।