এলডিসি অর্জন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন, নতুন প্রজন্মকে উৎসর্গ - Southeast Asia Journal

এলডিসি অর্জন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন, নতুন প্রজন্মকে উৎসর্গ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

উন্নয়নশীল দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবে। এ এক বিরাট অর্জন বাংলাদেশের। এ অর্জন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন প্রজন্মকে উৎসর্গ করেছেন। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যকালে তিনি অর্জন উৎসর্গের এই ঘোষণা দেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর হাতে উন্নয়নশীল দেশে যাওয়ার সুপারিশ হস্তান্তর করা হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বিকেলে গণভবনে এ সুপারিশপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

বাংলাদেশের এ অর্জনকে দেশের নতুন প্রজন্মকে উৎসর্গ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রজন্ম বাংলাদেশকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী তার শাসনামলে দেশের উন্নয়নের নানা চিত্র তুলে ধরে বলেন, গৃহহীনদের ঘর দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, করোনার মধ্যেও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে, ১ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকার ২৩ টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্ত হয়েছেন। এ সময় তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ তনয়া শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। শুরুতেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার উপস্থাপনা সবার দৃষ্টি কাড়ে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর হাতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র তুলে দেন অর্থমন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেন।

করোনা মহামারি মোকাবিলা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা কোনো ম্যাজিক নয়, আন্তরিকতা, দায়িত্ববোধ। এ জায়গা থেকে কাজ করেছি। এখানে আমার নয়, বাংলাদেশের জনগণের ম্যাজিক ছিল।’

গত শুক্রবার রাতে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হওয়ার সুপারিশ পায় বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট (সিডিপি) এই সুপারিশ করে। সুপারিশ অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে পুরোপুরি বের হয়ে যাবে। এলডিসি থেকে কোনো দেশ বের হবে, সে বিষয়ে সুপারিশ করে সিডিপি। এ জন্য প্রতি তিন বছর পরপর এলডিসিগুলোর ত্রিবার্ষিক মূল্যায়ন করা হয়। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা—এই তিন সূচক দিয়ে একটি দেশ উন্নয়নশীল দেশ হতে পারবে কি না, সেই যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়। যেকোনো দুটি সূচকে যোগ্যতা অর্জন করতে হয় কিংবা মাথাপিছু আয় নির্দিষ্ট সীমার দ্বিগুণ করতে হয়। সিডিপি পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক মূল্যায়নে এসব মান অর্জন করলেই এলডিসি থেকে বের হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ করে সিডিপি। সিডিপির সুপারিশ প্রথমে জাতিসংঘের ইকোসকে যায়। তিন বছর পরে তা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অনুমোদনের জন্য ওঠে। কিন্তু করোনার কারণে বাংলাদেশ বাড়তি আরও দুই বছর সময় পেল। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বের হবে বাংলাদেশ।