উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ - Southeast Asia Journal

উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

স্বল্পোন্নত বা এলডিসি দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেল বাংলাদেশ। বিশেষ এ স্বীকৃতির ফলে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের শ্রেণি থেকে বেরিয়ে আসবে। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি-সিডিপি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকের ভিত্তিতে কোনো দেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশ করে থাকে। কমিটির পাঁচ দিনব্যাপী ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা শুরু হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। বৈঠকের শেষ দিনে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বারের মতো এবং চূড়ান্তভাবে এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশ করে কমিটি।

বিশ্বে বাংলাদেশসহ ৪৭টি এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশ। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এই তিনটি সূচকের ভিত্তিতে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ। তিনটি সূচকেই শর্ত পূরণ করে এগিয়ে থাকায় ২০১৮ সালে প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। শর্ত অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশ হতে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১২৩০ ডলার। ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় পৌঁছে ১৮২৭ ডলারে। মানবসম্পদ সূচকে উন্নয়নশীল দেশ হতে ৬৬ পয়েন্ট প্রয়োজন। বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ৭৫.৩। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে কোনো দেশের ৩২ পয়েন্ট বা এর নিচে থাকতে হবে। যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ২৫ দশমিক ২।

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম বলেন, সব শর্ত পূরণ হওয়ায় এবারের বৈঠকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদার স্বীকৃতির জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করবে জাতিসংঘের সিডিপি। সাধারণত সিডিপির সুপারিশের তিন বছর পর চূড়ান্ত স্বীকৃতি মেলে। যদিও করোনার কারণে, চূড়ান্ত সুপারিশের সময়সীমা বাড়াতে, গত জানুয়ারিতে সিডিপির কাছে আবেদন করে বাংলাদেশ। সে হিসেবে ২০২৬ সালে মিলবে চূড়ান্ত স্বীকৃতি।

উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠলে সস্তা ঋণ পাওয়া এবং বিভিন্ন রপ্তানি সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। ওষুধ শিল্পে মেধাস্বত্ব আইন কার্যকরের পাশাপাশি থাকবে কৃষি থেকে ভর্তুকি তুলে নেয়ার চ্যালেঞ্জ। কোনো দেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার তিন বছর পর পর্যন্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত থাকে। সেক্ষেত্রে ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। তবে এখানেও বাড়তি সুবিধা চেয়ে রেখেছে সরকার। গত সেপ্টেম্বরে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় চিঠি পাঠিয়ে বাংলাদেশ বলেছে, করোনা মহামারীর কারণে বৈশ্বিক সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ায় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও যাতে বাণিজ্য সুবিধাগুলো আরো ১২ বছর অব্যাহত রাখা হয়।

এদিকে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সঠিক কৌশল প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।